Sunday 1 July 2018

জামাতের সাথে নামাজের গুরুত্ব

এফ কে জুনেদ আহমদ

এফ. কে. জুনেদ আহমদ
 নামাজ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন এবং  এ নির্ধারিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের সঙ্গে জামাতে আদায় করার ব্যাপারে তনি  তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কালামে পাকে ইরশাদ করেন- তোমরা নামাজ পড় নামাজিদের সাথে অর্থাৎ তোমরা জামাতের সাথে নামাজ পড় (সূরা বাকারা) একা একা পড়ো না  নবীকরিম (সা) ইরশাদ করেন জামাতের সাথে নামাজে সতাশ গুন বেশি সোওয়াব। তিনি আরও ইরশাদ করেন- একা একা নামাজ পড়া অপেক্ষা দু-জন জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। দু-জন অপেক্ষা বহুজন নামাজ পড়া আল্লাহর কাছে আরো বেশি উত্তম। (আবু দাউদ)  যে ব্যাক্তি এশার নামাজ জামাতে পড়ল সে অর্ধ রাত ইবাদত করার সওয়াব পাবে, যে ব্যক্তি এশার এবং ফজর জামাতের সাথে পড়লো সে পূর্নরাত বন্দেগীর সওয়াব পেল। মসজিদে ইমামের সাথে জামাতে নামাজ আদায়ের মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য কল্যান ও হিকমত। রাসুল (সা) কখনো জামাত তরক করতেন না, অসুস্থ অবস্থায় যখন হাটতে পারতেন না তখন দু সাহাবীর কাধে ভর করে পা টেনে টেনে জামাতে হাজির হতেন। রাসুল (সা)  বলেন তোমরা আজান শুনামাত্র মসজিদে গিয়ে সামনের কাতারে হাজির হও, কেননা ১ম কাতার ২য় কাতার  অপেক্ষা উত্তম, ২য় কাতার ৩য় কাতার অপেক্ষা উত্তম এভাবে একবারে শেষ কাতার অপেক্ষা তার সামনের কাতার উত্তম। পরিশেষে, জামাতে নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসুল (সা) এর ছোট্র একটি  হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই জামাতে নামজ সম্পর্কে বিশ্ব নবী (সা) বলেন নামাজের আজান হওয়ার পরও যারা ঘরে থেকে মসজিদে নামাজের জামাতে উপস্থিত হয়না যদি সে সব ঘরে নারী এবং শিশুরা না থাকত তবে সে সব ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতাম। আল্লাহ পাক যেন মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করেন।
আমিন।

শিক্ষার্থী: হযরত শাহজালাল ডি. ওয়াই. কামিল মাদরাসা, সোবহানীঘাট, সিলেট।

No comments:

Post a Comment